আয়েশা হোসেন মীম।। মার্শাল আর্ট এর কথা বললেই সবার আগে আমাদের মাথায় আসে কিংবদন্তি ব্রুস লি’র নাম। হাজারো বছরের পুরনো এই আত্মরক্ষার কৌশলকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। আর এই মার্শাল আর্ট এর একটি ধরণ হলো কারাতে।
জানা যায় ৫০ খিষ্ট্রপূর্বাব্দে ‘দারুমা’ নামের ভারতীয় এক বৌদ্ধধর্ম গুরু চীনের একটি ছোট উপাসনালয়ে প্রথমবারের মতো নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়ামের প্রচলন করেন। উদ্ভাবিত ব্যায়ামের কলা-কৌশল শরীর-মন কে শক্তিশালী ও সতেজ রাখে। তা কালক্রমে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে কারাতের বর্তমান রূপ ধারণ করে। আধুনিক কারাতের উৎপত্তি-স্থল হলো জাপানের আকিনাওয়া তে।
ছবি। লেখক ও ক্ষুদে শিক্ষার্থী। গুলশান কারাতে দো।
সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে কারাতে কে অনেকই মারামারির-সহিংসতার এক প্রকার রূপ হিসেবে দেখে থাকতে পারেন, তবে আসলে কারাতে হলো এক নিখুঁত খেলা ও আত্মরক্ষার কৌশল। কারাতের মূল বিষয়ই হলো শান্তি, যা কখনোই কাউকে হিংস্রতা বা অশৃঙ্খলার শিক্ষা দেয় না। কারাতের বিশেষ কিছু উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা হলো-
★কারাতে করার ফলে শরীর ও মন উভয়ই সতেজ থাকে।
★কারাতে জানা থাকলে, বিপদে পড়লে আত্মরক্ষার কাজে আসে।
★কারাতে করার ফলে, শারীরিক গঠন সুন্দর হয় এবং বুদ্ধিশক্তি বিকশিত হয়।
★কারাতে করার ফলে, শারীরিক-মানসিক প্রায় অনেক রোগব্যাধিই দূর হয়ে থাকে।
★কারাতে আপনাকে অপরাধমূলক মানসিকতা- চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত রাখে।
★কারাতে অনেক পরিশ্রম করে আয়ত্ত করতে হয়, যা আপনার ধৈর্য-সাধনা বহুগুণ বৃদ্ধি করে।
★কারাতে সময়ের মূল্য, অনুগত্য, সুশৃঙ্খলা, সামাজিকতা ইত্যাদির শিক্ষা দেয়।
তাছাড়া, বর্তমান সময়ে মেয়েরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। আপনি নিজেকে বা আপনার সন্তানকে কারাতে শিক্ষা দিলে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন।
আমি বলছি না এগুলো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন হবে, তবে কারাতে জানা থাকলে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি, বর্তমান সময়ে সামাজিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে বলা যায় যে, ভার্চূয়াল জগতে এত সময় ব্যয় না করে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে নিজের সন্তান- পরিবারকে কারাতে শিক্ষা দেয়া উচিত।
লেখক। সদস্য, বাংলাদেশ দল, জাতীয় কারাতে ফেডারেশন।
সদস্য, আনসার কারাতে দল।