তপন দেববর্মা।। শুধুমাত্র ডাক্তারি পরীক্ষা নয়, পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়কে হাইকোর্টের একটি যুগান্তকারী রায় বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘শুধুমাত্র ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ার কারণে ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি বা আপিলকারী ধর্ষণ করেনি এই অজুহাতে আসামি খালাস পেতে পারে না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও বিষয়াদি বিবেচনা করতে হবে।’
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিম্ন আদালতে দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির করা আপিল খারিজ করে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
সম্প্রতি ওই রায়ের ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে অধ্যাদেশ জারি হয়।
ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে বলা আছে, মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কোনোভাবেই সাজা দেয়া যাবে না আসামিকে। ফলে ধর্ষণ মামলা প্রমাণ করতে অন্যতম অস্ত্র মেডিকেল রিপোর্ট। এবার হাইকোর্ট তার এক রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়াও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণের সাজা দেয়া যাবে।