চুনারুঘাট।। প্লেয়ার্স ড্রাফটের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টি- ২০ বঙ্গবন্ধু কাপ টুর্নামেন্টের আয়োজন। এই ড্রাফটে থাকা ১৫৭ ক্রিকেটারের মধ্যে ৭৭ জনেরই সুযোগ হয়নি। টুর্নামেন্টে পাঁচটি দলে অংশ নিবে। প্রতিটি দল গঠন করতে খরচ হয়েছে কোটি টাকার বেশি।
বিপিএল’র প্রথম আসরে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের হয়ে খেলেছিলেন সম্প্রতি বিতর্কিত আচরণের সাকিব আল হাসান। প্লেয়ার্স ড্রাফটের ‘এ’ গ্রেড থেকে লটারিতে দ্বিতীয় ডাকে সুযোগ পেয়েই সাকিবকে দলে নিয়েছে জেমকন খুলনা।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ‘এ’ গ্রেডের কোনো ক্রিকেটারকে না নেয়ায় মাহমুদউল্লাহকেও নেয় খুলনা। সর্বোচ্চ এক কোটি ১৪ লাখ টাকার দল গড়েছে তারা। এছাড়া প্রথম ডাকে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেক্সিমকো ঢাকা দলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। ফরচুন বরিশাল নেয় তামিম ইকবালকে।
আর প্রথম সুযোগে মোস্তাফিজুর রহমানকে পেয়ে যায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী প্রথম ডাকেই দলে নেয় ‘বি’ গ্রেডে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর), ঢাকার পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানে হয়ে গেল প্লেয়ার্স ড্রাফট।
এই টুর্নামেন্টে ঢাকার খরচ হয়েছে এক কোটি তিন লাখ, চট্টগ্রাম ও বরিশালের এক কোটি ১৩ লাখ করে এবং রাজশাহীর এক কোটি দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে খেলোয়াড় কিনতে।
সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক ‘এ’ গ্রেডের ক্রিকেটারদের, বি-গ্রেডের পারিশ্রমিক ১০ লাখ, সি-গ্রেডে ছয় লাখ এবং ডি-গ্রেডের ক্রিকেটাররা পাবেন চার লাখ করে। পাঁচটি দল সর্বোচ্চ ১৬ জন করে ক্রিকেটার দলে নিয়েছেন। ড্রাফটে থাকা ১৫৭ ক্রিকেটারের মধ্যে সুযোগ হয়নি ৭৭ জনের।
ড্রাফটে ডি-গ্রেডে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে নিয়েছে রাজশাহী। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ডাকে লিটন দাসকে নেয় চট্টগ্রাম, আফিফ হোসেনকে বরিশাল, রুবেল হোসেনকে ঢাকা ও মেহেদি হাসানকে রাজশাহী। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকবর আলী, শাহাদাত হোসেন দিপু, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তৌহিদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম সহজেই দল পেয়ে যান।
এছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৯-এর আলোচিত ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিমকে পেয়েছে ঢাকা। তবে ফিটনেস পরীক্ষায় ভালো করলেও কোনো দলে জায়গা হয়নি শাহরিয়ার নাফিস এবং এনামুল হক জুনিয়রের।
সুত্র। অনলাইন।