মহামারী শেষে যদি বেঁচে থাকি দেখা হবে দু’জনার
আপাতত আজ দূরে সরে যাও প্রয়োজন বাঁচিবার।
সংসারে কিছু অসহায় মুখ আমাদেরে ভালোবেসে
দুখের রাতে যে সমব্যথী হয় সুখে ওঠে তারা হেসে।
তাহাদের দায় এড়ানো কী যায় বলো ওগো প্রিয়তমা
ভুল যদি কিছু বলে থাকি তবে আমারে করিও ক্ষমা।
কতো প্রিয় মুখ চলে গেল হায় এখনো আমরা আছি
তাই বলি শোনো এসো নাগো কাছে হয়ো না সব্যসাচী।
দেখা যায় যাকে তার সাথে তবু লড়াই চলতে পারে
অদেখা করোনা অচেনা রয়েছে বলো কে রুখবে তারে?,
হাতের তালুতে বসবাস যার কীভাবে সরাবো তাকে
এই মহামারী সহজে যাবে না সারাক্ষণ কাছে ডাকে।
ছুঁয়ো না আমাকে সারা দেহে বিষ তুমি কেন হবে নীল
ভালোবাসা দিয়ে বাঁধা সেই সুতো একটু করো না ঢিল।
আমি না থাকলে হয়তো বা তুমি কেঁদে যাবে আজীবন
সেখানে তোমার হবে চিরজয়,নয় তা বিসর্জন।
অনাহারী মুখে তুলে দিও ভাত ওরা যে তোমার সাথী
ওরা জ্বেলে দেবে মরণের মাঝে জীবনের সাদা বাতি।
ওদেরে বাঁচাতে তোমাকে শক্ত হতে হবে জানি একা
এছাড়া উপায় নেই কোন আর এটা যে ভাগ্য লেখা।
স্মরণের পারে আমাদের যদি দেখা হয় কোন কালে
বিজয়ের টীকা পরাবো তোমার দুঃখ কাতর ভালে।
স্বর্গের চাবি হাতে না পেলেও ক্ষতি নেই কিছু আর
জীবনের দামে জীবন কিনেছি তাই দেবো উপহার।
মহামারী আসে মহামারী যায় স্মৃতিমাখা আঁখি জলে
ধুসর ঘাসেরা হয় যে সবুজ প্রতিদিন প্রতি পলে।
কান পেতে শোনো ওই দূরে বুঝি পাখিরা গাইছে গান
মহাশ্মশানের পাদভূমি ছুঁয়ে জাগিবে সজীব প্রাণ।
তবে কেন এতো হা-হুতাশ করো বাজাও বেদনা-বীণ
মনে রেখে দিও এতে যে আমার শুধুই বাড়ছে ঋণ।
সব জ্বালা সয়ে ব্যথিত হৃদয় কষ্টে উন্মাতাল
সময় হয়েছে চলে যাবো ওগো ডাকে ওই মহাকাল।
পৃথিবী ঘুরবে আগের মতোই উঠবে সূর্য পূবে
লেনাদেনা শেষে আবার যাবে সে গোধূলিবেলায় ভুবে।
লেখক। আনোয়ারুল ইসলাম
কবি ও গীতিকার।
সাবেক কর্মকর্তা। দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সরকার।