আশরাফুল ইসলাম।। জ্ঞান- বিজ্ঞান- উদ্ভাবনে দক্ষিণ এশিয়ার তলানীতে বাংলাদেশের অবস্থান। ‘গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স-২০২০’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্যটি উঠে এসেছে। গত বুধবার (৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করেছে।
ওই সূচক মতে, বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশর অবস্থান ১১২তম। যা তলানীর দিকে বলা যায়। শিক্ষা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনসহ সাতটি বিষয় বিবেচনায় করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।
তবে ২০১২ সালের তুলনায় বিভিন্ন চলকে ০.৯ পয়েন্ট উন্নীত করে মোট ৩৫.৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যা বৈশ্বিক গড় পয়েন্ট ৪৬.৭ এর চেয়ে অনেক কম। সেবছরও বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১২তম।
সূচক মতে, মধ্যম মানের ২৪টি দেশের মধ্যে ১৯ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। উচ্চশিক্ষা খাতে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই তালিকার সবার ওপরে আছে সুইজারল্যান্ড। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। এরপরেই আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিনল্যান্ডের অবস্থান।
মূলত সাতটি সেক্টরের অধীনে ১৩৩টি চলক বিশ্লেষণ করে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। সেক্টরগুলো হলো- প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সাধারণ সক্ষমতার পরিবেশ।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারত। দেশটি পেয়েছে ৪৪.৪ পয়েন্ট। আর বিশ্বে ৭৫তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। এরপরের অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটি ৪২.১ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৮৭তম। এছাড়াও ৪০.৯, ৩৬.২ এবং ৩৫.৯ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তান।
৩৫.৯ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার পেছনে। এই সূচক শিক্ষা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্বল অবস্থানকেই তুলে ধরেছে।
অনলাইন।