আশরাফুল ইসলাম।। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হন ভারত থকে। বিভিন্ন দেশে ভারতীয় অভিবাসীদের অধিকার ও সুযোগ নিয়ে ভারত সরকার সব সময় সরব। কিন্তু সেই ভারতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীরা কেমন সুযোগসুবিধা পেয়ে থাকেন, তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ইউরোপের দু’টি সংগঠন ২০২০-তে অভিবাসীদের পাওয়া সুযোগ-সুবিধার সুচকে ৫২টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে। মাইগ্র্যান্ট ইন্টিগ্রেশন পলিসি ইনডেক্স (এমআইপিইএক্স) নামে এই সূচকে ১০০-র মধ্যে ২৪ নম্বর পেয়ে তালিকার সবচেয়ে নীচের স্থানটি অধিকার করেছে ভারত।
অভিবাসীদের প্রাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্ম পরিবেশ, বেতন-ভাতা, পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা, নাগরিকত্ব লাভ, রাজনৈতিক অধিকার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে ওই তালিকায় নম্বর দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় পৌনে ২ কোটি অভিবাসী গিয়েছেন ভারত থেকে। এতো বেশি অভিবাসী আর কোনো দেশ থেকে যায়নি।
আরব দেশগুলো, ইন্দোনেশিয়া এবং আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিবাসীদের অধিকার প্রশ্নে কূটনৈতিকভাবে সব সময়ে সরব থেকেছে ভারত সরকার।
অন্য দিকে ভারতে সে ভাবে কোনো অভিবাসী নীতিই নেই বলে অভিযোগ করা হয়েছে ব্রাসেলসের মাইগ্রেশন পলিসি গ্রুপ এবং বার্সেলোনা সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের রিপোর্টে।
২০১১-র জনগণনার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতে প্রায় ৫০ লক্ষ অভিবাসী রয়েছেন। এঁদের ৯৫ শতাংশই এসেছেন নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মায়ানমার বা আফগানিস্তান থেকে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি এবং সামাজিক বিষয়ক শাখার জনসংখ্যা তথ্যভাণ্ডার জানাচ্ছে, ১৯৯০-এ মূলত প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৭৬ লক্ষ। ২০১৯-এ যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ লক্ষে।
ভারতে থাকা অভিবাসীদের অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, আইসিডিএস-এর অধীনে শিশুদের টিকাকরণ ও অন্যান্য সুযোগটুকুই শুধু তাঁরা পান। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান যোজনা বা বিভিন্ন রাজ্যে প্রচলিত স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে সাধারণ অভিবাসীরা বঞ্চিতই থাকেন।
তবে ভারতে তামিল অভিবাসী এবং তিব্বতি শরণার্থীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ রয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ অনলাইন।