আরণ্যক আচার্য।। যতদূরসম্ভব করোনা পুঁজিবাদকে উদ্ধার করার একটি প্রকল্প ছিলো। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য কতোটা ক্ষমতার হাতে থাকবে তা বলা মুশকিল। ঠিক যেভাবে কাশ্মীর মোটামুটি পরিকল্পিত পথে এগোলেও, তা কেন্দ্রিয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিলো। করোনাও শেষে পুঁজিবাদের মাথাব্যথা না হয়ে দাঁড়ায়।
হাওয়া যে দিকে বইছে ক্ষমতার হাত থেকে অনেকটা রাশ বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশী। শহর থেকে দেশে দেশে দলে দলে খেটে খাওয়ারা মাস এক্সোডাস করবে, পুঁজি কবে ভেবেছিলো?
দিন আনি দিন খাইদের একাংশ যদি ভাবতে শুরু করে তারা শহরে কাজ ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারেন, এবং এই ভাবনাটা যদি বেশি দিন চলতে থাকে; আর গ্রাম-শহরের মাত্র কিছু শতাংশ মানুষেরও অভ্যেস বদলে যায় তাহলে পুঁজিবাদে বিপুল ধাক্কা আসবে।
কে ভেবেছিল এক মাস ফাস্ট ফুড ছাড়া একটা সভ্যতা চলতে পারে? কে ভেবেছিলো স্কুল- কলেজ এক বছর ধরে বন্ধ থাকবে?
কে ভেবেছিল সুসভ্য এগিয়ে থাকা যাদের বলি, তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এরকম বেআবরু হয়ে পড়বে সারা বিশ্বের সামনে? পুঁজিবাদের যে ঘোমটা ছিল সেটা এরকমভাবে খসে পড়বে?
সেটা পুঁজির কাছেও চরম আশ্চর্যের ছিলো। পুঁজি তো যুদ্ধ করেও নিজের ক্ষতি করে, প্রচুর ধ্বংসও হয় যুদ্ধের সময়- সে সেটা জানে। কিন্তু কোনও বোমা না ফেলে যাদের ক্ষতি হবার কথা তাদের কিছু না হয়ে পুঁজির হেডকোয়ার্টার্সের পিপিইসহ কাপড় উজাড় হয়ে যাবে, এই হিসেবটা পুঁজির মাথায় ছিলো কীনা জানি না- হয়তো নয়।
আশায় আছি।