শুহিনুর খাদেম।। বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাইতং পাহাড়ে পর্যটনের নামে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে চিম্বুক পাহাড় থেকে স্থানীয় অধিবাসীরা লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছেন।
চিম্বুক পাহাড়ে বসবাসরত ম্রো সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই লংমার্চের ডাক দিয়েছেন।
চিম্বুক থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বান্দরবান জেলা সদরের দিকে যাত্রা শুরু করে এই লং মার্চ। ম্রো সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও আরো বিভিন্ন গোষ্ঠি শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশ নিয়েছে এই লংমার্চে।
এ লংমার্চের মাঝ পথে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আয়োজকরা। তবে জানা যায়, পুলিশের বাধা পেড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে লংমার্চ।
ছবিঃ বাংলা অনলাইন।
লংমার্চে বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড বহন করা হয়। এসব প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ ছিলো- ‘পর্যটন নয়, শিক্ষা চাই’, ‘মুনাফার জন্য পাহাড় বিকৃতি চলবে না, চলবে না’, ‘আমার ভূমি, আমার মা’ ‘তোমাদের পর্যটন ব্যবসা, আমাদের মরণ দশা’, ‘পাহাড় পাহাড়ের, কংক্রীটের দেয়াল নয়।’
উল্লেখ্য চিম্বুকের বুকে নাইতং পাহাড়ে সিকদার গ্রুপের উদ্যোগে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ হবে। সেখানে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পর্যটন প্রকল্প।
এই প্রকল্প স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন যাত্রার উন্নয়ন ঘটাবে বলা হলেও, স্থানীয়রা বলছেন উল্টো কথা। এই প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন চিম্বুক পাহাড়ে বসবাসরত ম্রো সম্প্রদায়ের মানুষ।
আরো জানা যায়, সিকদার গ্রুপের এই হোটেল নাইতং পাহাড়ে নির্মাণ হলে প্রত্যক্ষভাবে ম্রোদের চারটি পাড়া এবং পরোক্ষভাবে ৭০-১১৬টি পাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
সেখানকার অধিবাসীরা বলছেন, ‘এই মাটি, এই পাহাড়ে আমরা শত বছর ধরে বাস করছি। কারোর বিনোদনের জন্য আমাদের ভিটে ছাড়বো কেনো? এই বন-পাহাড় ছাড়া আমরা কিভাবে বাঁচবো? আমরা আমৃত্যু এই মাটি আগলে রাখবো।’
লংমার্চ কর্মসূচির আগে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন স্থানীয় অধিবাসীসহ সকল প্রকল্প বিরোধীরা।
অনলাইন।