আমাদের চারপাশে প্রতিদিন প্রতিযোগিতামূলক একটি সমাজ তৈরি হচ্ছে। পড়ালেখার কথা বলো, চাকরির সুযোগের কথা বলো কিংবা ব্যবসা- বাণিজ্যের কথা বলো। সব জায়গাতেই রয়েছে এক অসম প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজের সেরাটা দেয়া খুবই জরুরি।
আর নিজের সেরাটা তখনই দেয়া সম্ভব যখন কোনো বিশেষক্ষেত্রে তোমার দক্ষতা কিংবা পারদর্শিতা থাকবে। আর যদি সেই বিশেষক্ষেত্রে কাজ করার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দক্ষতা কিংবা পারদর্শিতা যাই বলো না কেনো, তা দিয়ে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থী জীবনটাই হলো সেরা সময়।
শিক্ষার্থী জীবনে অনেক কিছুই একসাথে সামলে চলতে হয়। পড়ালেখা, বন্ধু, পরিবার, বিনোদন এবং তারপর নিজের কাজ। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও নিজেকে সামনের জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হয়। ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে বীজ বোনার কাজটা করতে হয় শিক্ষার্থী জীবনেই।
আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় তৈরি হওয়ার ফাইনাল স্টেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা। কারণ এখানে একজন শিক্ষার্থী যে ৪ থেকে ৫ বছর সময় পাডর করে, তার পুরোটা জুড়েই তার জন্য রাস্তা খোলা থাকে বিশ্বজগতের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার। এই ৪ বছর কিংবা ৫ বছর সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক সুযোগ আসে নিজেকে অন্য সবার থেকে উন্নত করার। যেমনঃ
১. নিজস্ব একটা নেটওয়ার্ক তৈরিতে সাহায্য করে।
২. কর্ম ও শিক্ষার জগৎ কীরকম তা বুঝতে সহজ হয়।
৩. ইন্টার্নশিপ থেকেই রিক্রুট হবার সুযোগ থাকে।
৪. সত্যিকার পরিবেশে কাজ করার একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়।
৫. নিজের দক্ষতাকে যাচাই করে নেয়ার সুযোগ হয়।
নিজের অর্জিত শিক্ষা ও চেতনার সাথে নিজের সেরাটা অর্জন করতে হলে অনবরত চর্চা ও অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নাই।
[টেন মিনিট স্কুল থেকে নেওয়া]