হাবিবুর রহমান মাসুক।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে শীর্ষে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
আর প্রকাশিত এ তালিকায় আছেন সিলেট বিভাগের ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন।
এছাড়া সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন ও রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা (প্রথম পর্যায়) প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করেছি। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’
ইতোমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও এতদিন তাদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্ব হলেও সে তালিকা তৈরি করা শুরু করেছি।’